সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ
পল্লী এলাকার রাস্তা-ঘাট, স্কুল, ব্রীজ, কালভার্ট ইত্যাদি উন্নয়নের লক্ষ্যে বৃটিশ শাসনামলে বংগীয় স্থানীয় স্বায়ত্বশাসন আইন, ১৮৮৫ প্রবর্তন করা হয়। উক্ত আইনের মাধ্যমে সর্বপ্রথম ১৮৮৫ সনে জেলা পর্যায়ে ‘জেলা বোর্ড’ গঠন করা হয়। মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ, ১৯৫৯ অনুযায়ী জেলা বোর্ডের নাম পরিবর্তন করে ‘জেলা কাউন্সিল’ রাখা হয়। এ আদেশ জেলা কাউন্সিলকে ব্যাপক কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়। দেশ স্বাধীনের পর রাষ্ট্রপতি আদেশ নং-৭, ১৯৭২-এ জেলা কাউন্সিলের দায়িত্বাবলী পূর্বের ন্যায় বহাল থাকে। এরপর স্থানীয় সরকার আধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর মাধ্যমে জেলা কাউন্সিলের নাম পরিবর্তন করে ‘জেলা পরিষদ’ রাখা হয়। জেলা পরিষদ আইন, ১৯৮৮ এর মাধ্যমে সকল নবগঠিত জেলাসহ (পার্বত্য জেলা বাদে) মোট ৬১টি জেলা পরিষদ গঠন করা হয়।
জেলা পরিষদের কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ
জেলা পরিষদ আইন, ২০০০ অনুযায়ী জেলা পরিষদকে বিভিন্ন কার্যাবলী সম্পাদন করতে হয়। তন্মধ্যে জেলার সকল উন্নয়ন কার্যক্রমের পর্যালোচনা। উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের বাসত্মবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা। সাধারন পাঠাগারের ব্যবস্থা এবং উহার রক্ষনাবেক্ষন। উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা বা সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত নহে এই প্রকার জনপথ, কালভার্ট ও ব্রীজ নির্মান,রক্ষনাবেক্ষন এবং উহার উন্নয়ন। রাসত্মার পার্শ্বে ও জনসাধারনের ব্যবহার্য স্থানে বৃক্ষরোপন ও উহার রক্ষনাবেক্ষন। জনসাধারনের ব্যবহারার্থে উদ্ব্যান, খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থানের ব্যবস্থা ও উহাদের রক্ষনাবেক্ষন। সরকারী, উপজেলা পরিষদ বা পৌরসভার রক্ষনাবেক্ষনে নহে এমন খেয়াঘাট ও পুকুর ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ। ডাক-বাংলো ও বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা ও রক্ষনাবেক্ষন। জেলা পরিষদের অনুরূপ কার্যাবলী সম্পাদনরত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা। উপজেলা ও পৌরসভাকে সহায়তা, সহযোগিতা এবং উৎসাহ প্রদান। সরকার কর্তৃক জেলা পরিষদের উপর অর্পিত উন্নয়ন পরিকল্পনার বাসত্মবায়ন। সরকার কর্তৃক আরোপিত অন্যান্য কাজ সম্পাদন। এছাড়াও শিক্ষা, সাংস্কৃতি, সমাজকল্যান, অর্থনৈতিক কল্যান, জনস্বাস্থ্য ও সাধারন বিষয়কসহ সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে জারীকৃত নির্দেশিকা অনুযায়ী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে।
সেবাসমূহ এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ
জেলা পরিষদ এর সেবামূলক কাজের মধ্যে ডাক-বাংলা/রেষ্ট হাউজ ব্যবস্থাপনা, গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান, ক্রীড়া, সাংস্কৃতি, ধর্মীয় ও সামাজিক কল্যাণমূলক খাতে অনুদান, ত্রান সাহায্য, মুক্তিযোদ্ধা/মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের জন্য আর্থিক সাহায্য উল্লেখযোগ্য।